সাতক্ষীরা শহরের বাইপাস সড়ক ও মহাসড়কগুলো মোটরসাইকেলের উপস্থিতি বৃদ্ধির কারণে বিপদজনক হয়ে পড়েছে। প্রশস্ত সড়কগুলোতে ঘটছে দুর্ঘটনা। অকাতরে হারাচ্ছে পথচারীসহ অনেক যুবকের প্রাণ সাতক্ষীরার সড়কগুলোতে কিশোর, তরুণ আর যুবকরা মোটরসাইকেল চালিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে যে কারণে মোটরসাইকেলের ব্যপকতায় দুর্ঘটনার পরিমান বেড়েই চলেছে।
সাতক্ষীরা ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট এস এম নাজমুল সিকদারের কাছে অপ্রাপ্ত বয়স্ক যুবকদের বেপরয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালানের আইনগত বৈধতা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাদের জন্য মোটরসাইকেল ব্যবহারের কোন আইনগত বৈধতা নেই এ ধরনের বেপরোয়া যুবকরা মোটরসাইকেলসহ ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের সামনে পড়লেই আটক করে ট্রাফিক আইনে ব্যবস্থা নেয়া হয়।
একই বিষয়ে সার্জেন্ট কনক হালদার বলেন এক শ্রেণির অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের আবদার রক্ষা করতে বা অবাধ্য হয়ে যাওয়া সন্তানের কাছে অসহায় হয়ে তাদের হাতে তুলে দিচ্ছে দুর্ঘটনার বাহন মোটরসাইকেল। ১৫/১৬ বছরের এক কিশোর তার জীবন এবং সড়ক সম্পর্কে কতটুকু জ্ঞান রাখে।
জীবনের মূল্য সময়ের মূল্য আর সময়ের বিষয় তাদের কাছে একাকার। কনস্টেবল জাকারিয়া বলেন, সাতক্ষীরা কালিগঞ্জ সড়কের পাশাপাশি সংযোগ সড়কগুলোতে কিশোরদের মোটরসাইকেল চালনা সমান তালে চলছে এ সকল কিশোর যুবকদের ড্রাইভিং সনদ নেই। অবশ্য অপ্রাপ্ত বয়স্কদের ড্রাইভিং সনদের বিষয়টি আইনগতভাবে বৈধতা নেই।
সাতক্ষীরার ব্যবসায়ী রফিকুল উসলাম ও পথচারী খাইরুল ইসলাম বলেন, যে কিশোর-তরুণ দুর্ঘটনায় আক্রান্ত হচ্ছে সে কিন্তু একক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে না। তার পরিবারসহ যে যান মালিকের সাথে দুর্ঘটনায় ঘটছে তিনিও তার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
সার্জেন্ট এস এম নাজমুল সিকদার বলেন, আমরা সাতক্ষীরা শহরকে দুর্ঘটনামুক্ত রাখতে ও বেআইনিভাবে সকল প্রকার যানবাহন ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে আমরা তৎপর রয়েছি।
টিএইচ